লোকসংবাদ প্রতিবেদন
দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের
ঘটনায় আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে
বৃহস্পতিবার নোয়াখালীতে মানবাধিকার কর্মীরা এক মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন
করে। সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে সুশাসনের জন্য
প্রচারাভিযান-সুপ্র, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, পারিবারিক নির্যাতন
প্রতিরোধ জোট, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান ও গান্ধী
আশ্রম ট্রাস্ট যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, আইনজীবী সহ
সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন
চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য
মো. সলিম উল্যাহ, নারী নেত্রী এডভোকেট কল্পনা রাণী দাস, পপি রহমান, রৌশন
আক্তার লাকী, গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্টের পরিচালক রাহা নব কুমার, প্রাণ এর
নির্বাহী প্রধান নুরুল আলম মাসুদ, এডভোকেট গোলাম আকবর, জাতীয় যুব জোটের
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু নাছের মঞ্জু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত এক
সপ্তাহে দেশে প্রকাশিতভাবে ৭টিরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মিডিয়ায় প্রকাশ
পায়নি এমন হয়তো আরও অসংখ্য ধর্ষণ হয়েছে। বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ৩
সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ
(সিডও) চলমান থাকলেও নারীর প্রতি সত্যিকারের বৈষম্য আজো নিয়ন্ত্রণ করা
যায়নি; বরং সহিংসতা এবং পাশবিক নির্যাতনের ধরণ পরিবর্তিত হয়ে নতুন মাত্রা
ধারণ করেছে। বিশ্ব জুড়ে নারীর প্রতি নগ্ন ও পাশবিক নির্যাতনের মধ্যে ধর্ষণ
অতীব নিকৃষ্ট যা দিনে দিনে হ্রাসের পরিবর্তে বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁরা
বলেন, একদিকে যেমন প্রতিনিয়ত প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ইচ্ছার
বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হচ্ছে, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনকে পাশ কাটিয়ে বাল্য
বিবাহের চলমান প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রেখে ধর্ষণ করা হচ্ছে কমলমতি কিশোরীদের,
অপমৃত্যু ঘটছে শত শত সম্ভবনাময় ভবিষ্যতের।
বক্তারা আরও বলেন গত ১৬
ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় ঘটে যাওয়া বর্বর ঘটনায় মেডিকেল ছাত্রীকে জীবন
দিয়ে প্রমাণ করতে হয়েছে সভ্যতার মুখোশ পরা বিশ্ব এখনো সত্যিকারের সভ্যতা
অর্জন করতে পারেনি। স¤প্রতি সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া এমন ঘৃণ্য ঘটনার
সংখ্যা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। স¤প্রতি সময়ে পুরোন ঢাকার একজন
নারী চিকিৎসকের ধর্ষিত হওয়া, সিরাজগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনা, সাভারে ধর্ষণ ও
জোরপূর্বক ভিডিও করা, টাঙ্গাইলে কিশোরীর ধর্ষিত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে
মৃত্যুর সাথে লড়ে যাওয়া, মাদারিপুরে শিশু ধর্ষণ এবং কক্সবাজারে গৃহবধুকে
ধর্ষণ করে হত্যা সহ শত ঘটনার বর্ণনা দেয় বক্তারা। এ সময় বক্তারা বলেন, শুধু
আইন করে নয় বরং আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে এসব রুখতে হবে। যেহেতু এ দেশের মানুষ
রাষ্ট্রের, তাই রাষ্ট্রকেই সকল মানুষের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশে প্রচলিত
আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন করা, ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনে সংশ্লিষ্ট সকলের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, সামাজিক সচেতনতা তৈরির জন্য সরকারি
পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন।
মতামত
হা বী ব ই ম ন
রোহিঙ্গাদের হাতে নষ্ট হবে নোয়াখালী!
ছোট্ট একখান শহর। এক রাস্তার শহর। শুনশান-শান্ত একটি শহর। সেই শহরের ছোট্ট একটি ছেলে আমি। যদি এ জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারি, এ শহরের মানুষগুলোর কাছে থেকে এ শিখেছি। আজ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, বাস্তবতা-অবাস্তবতায় এ শহর থেকে অনেক দূরে এসেছি। কল্পনায়-আবেগে এখনো মন পড়ে থাকে এ শহরের দিকে। ছটফট করি কখন বাড়ি যাবো, কখন এ প্রিয় শহরে দাপিয়ে বেড়াবো, প্রিয় মুখগুলো শ্রীদর্শন হবে, অপেক্ষায় থাকি।
[বিস্তারিত]

মতামত
নোয়াখালী বিভাগ চাই
আবদুল্লাহ আল মামুনবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ১৮২১ সালে সৃষ্ট অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলার নাম‘নোয়াখালী’। এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনসহ অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নিজ কর্মে কীর্তিমান।
বৃহত্তর জেলা সিলেট ও বরিশাল এবং রংপুর বিভাগ হলেও প্রাচীন এই জেলাটিএখনও বিভাগ হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় এক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি হচ্ছে নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ ঘোষণা করা হোক।
[বিস্তারিত]
