লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধূ রুনা গতকাল রোববার মারা গেছে। দুই মাস আগে তিনি স্বামীর দেওয়া আগুনে মারাত্মক দগ্ধ হন বলে তার পরিবারের পক্ষ পাওয়া গছে।। রুনার বড় ভাই মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, রায়পুর উপজেলার ৮ নম্বর দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে গতকাল সকালে রুনা মারা যান। তাঁর একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল হক জানান, গৃহবধূ রুনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গৃহবধূ রুনার গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর রায়পুর থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছয়-সাত বছর আগে উপজেলার চরকাছিয়া গ্রামের রুনিরা বেগম ওরফে রুনার (২৫) সঙ্গে দেবীপুর গ্রামের মো. সেলিম ওরফে আইএসডি সেলিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি স্ত্রীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
এই টাকা দিতে না পারায় তিনি স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। সর্বশেষ ঘটর্না দিন ১৪ অক্টোবর সকালে তিনি রুনাকে ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে রুনার শরীর ঝলসে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রুনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দরিদ্র বাবার পক্ষে চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভব না হওয়ায় এক মাস পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসআই শামছুল হক জানান, এ ঘটনায় রুনার বাবা জসিম উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে সেলিমকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সেলিমকে মিতালী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেলিম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তার বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী. চাঁদাবাজী ক্ষমতা প্রভাব বিস্তার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
- রবিউল ইসলাম খান