হাতিয়ার সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিমকে জলদস্যুরা বৃহস্পতিবার তাঁর নির্বাচনী এলাকয় যেতে দেয়নি।
জাতীয় সংসদের একমাত্র এই স্বতন্ত্র সাংসদ সকালে জেলা সদর থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়না হলে চেয়ারম্যান ঘাটের পুলিশ ক্যাম্পের সামনে জলদস্যুদের বাঁধার মুখে পড়েন। সশস্ত্র দস্যুরা সাংসদকে ঘিরে রেখে অশোভন আচরন করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে তিনি আবার জেলা সদরে ফিরে আসেন।
ফজলুল আজিম অভিযোগ জানান, ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়না হয়ে সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি চেয়ারম্যান ঘাট এসে পৌঁছেন। সেখানে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে জলদস্যু মুন্সিয়া বাহিনীর নিজাম, মালেক, এমাল হক, বাঘরাজ, বাহার কেরানী, কালাম, করিম, জুয়েল, আকবর, সাহাদাত, ফিটার কাশেম, আবদুল হক, বেলাল, শফি সহ ২৫-৩০ জন সশস্ত্র অবস্থায় তাঁর গাড়ি ঘেরাও করে। সেখানে দস্যুরা তাঁকে হাতিয়ায় যেতে দিবেনা বলে নানা ধরনের কোটুক্তি করতে থাকে। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে এসে সাংসদ তাঁকে বাঁধা দেওযার কারন জানতে চাইলে দস্যুরা উপরের বসের নির্দেশে তাঁকে হাতিয়ায় যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। এসময় দস্যুদের সাথে বাকবিতন্ডা চলাকালে আরো দস্যু জড়ো হতে থাকে বলে জানান তিনি। সাংসদ স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সুবেদার সলিম উল্ল্যাহকে ফোনে জানালে তিনি আসছেন বলে আর আসেননি। এক পর্যায়ে তিনি জেলা সদরে ভাইয়ের বাসায় ফিরে আসেন।
ফজলুল আজিম বলেন, ‘আমার বাড়ি যাওয়ার বিষয়টি বুধবার হাতিয়া থানার ওসিকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু বিপদের সময় পুলিশ আমাকে কোনরকম সহযোগীতাই করলোনা। পরে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানালে তিনিও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় আমি বাড়ি যেতে পারেন না বলে জানিয়ে দিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যান’।
এ ব্যপারে পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ হাজারী বলেন,‘হাতিয়া যাওয়ার সময় সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বাঁধার মুখে পড়েছিলেন বলে শুনেছি। তবে বাঁধাদানকারীরা আমার জানামতে ভূমিহীন’। নির্বাচনী এলাকার সাথে নিয়মীত যোগাযোগ না থাকায় ভূমিহীনদের সাথে তাঁর সম্পর্কের অবনতির কারনে এমটি হতে পারে বলে পুলিশ সুপারের ধারনা।
মতামত
হা বী ব ই ম ন
রোহিঙ্গাদের হাতে নষ্ট হবে নোয়াখালী!
ছোট্ট একখান শহর। এক রাস্তার শহর। শুনশান-শান্ত একটি শহর। সেই শহরের ছোট্ট একটি ছেলে আমি। যদি এ জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারি, এ শহরের মানুষগুলোর কাছে থেকে এ শিখেছি। আজ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, বাস্তবতা-অবাস্তবতায় এ শহর থেকে অনেক দূরে এসেছি। কল্পনায়-আবেগে এখনো মন পড়ে থাকে এ শহরের দিকে। ছটফট করি কখন বাড়ি যাবো, কখন এ প্রিয় শহরে দাপিয়ে বেড়াবো, প্রিয় মুখগুলো শ্রীদর্শন হবে, অপেক্ষায় থাকি।
[বিস্তারিত]

মতামত
নোয়াখালী বিভাগ চাই
আবদুল্লাহ আল মামুনবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ১৮২১ সালে সৃষ্ট অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলার নাম‘নোয়াখালী’। এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনসহ অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নিজ কর্মে কীর্তিমান।
বৃহত্তর জেলা সিলেট ও বরিশাল এবং রংপুর বিভাগ হলেও প্রাচীন এই জেলাটিএখনও বিভাগ হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় এক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি হচ্ছে নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ ঘোষণা করা হোক।
[বিস্তারিত]

প্রধান পাতা
চলতি সংবাদ
জলদস্যুদের বাঁধা।। নিজ নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারেননি হাতিয়ার সাংসদ ফজলুল আজিম
জলদস্যুদের বাঁধা।। নিজ নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারেননি হাতিয়ার সাংসদ ফজলুল আজিম
- ফেসবুক মন্তব্য