
নোয়াখালীর সেনবাগে আবু সুফিয়ান (১৫) নামে এক শিশুর শরীরে অকটেন ডেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আগুনে শিশুটির পিটসহ শরীরের একাংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে। অটোরিকশা গ্যারেজে কর্মরত শিশুটি সময় মত কাজ করে দিতে না পারায় আমিরুল ইসলাম (২৪) নামে এক অটোরিকসা চালক এই বর্বর ঘটনাটি ঘটায়।
উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের রাস্তারমাথা নামক এলাকায় গত শনিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। সুফিয়ান একই ইউনিয়নের মহিদীপুর গ্রামের মো: সোলেমানের পুত্র। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সুফিয়ানকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে রোববার সকালে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এই ঘটনায় শনিবার রাতে সুফিয়ানের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অটোরিকশা চালক আমিরুল ইসলাম (২৪), আইয়ুবুল ইসলাম (২২) ও সাদ্দাম হোসেনকে (২১) গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে আনা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আমিরুল ইসলাম তাঁর অটোরিকশাটি মেরামতের জন্য রাস্তারমাথা নামক এলাকায় সাগরের সিএনজি গ্যারেজে নেন। ওইসময় গ্যারেজের মেকানিক সুফিয়ান অন্য একটি ট্যাক্সির কাজ করছিল দেখে আমিরুল চলে যান। এরপর বিকেলে এসে অটোরিকশাটি মেরামত করা হয়নি দেখে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আমিরুল আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তার অটোরিকশায় থাকা অকটেন সুফিয়ানের গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে সুফিয়ানের পিটসহ শরীরের একাংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, আগুনে সুফিয়ানের শরীরের একাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
#