পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নোয়খালী শহরে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। সোমবার রাতের এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়। হামলার সময় শহরের দুটি দোকানসহ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার অর্ধশতাধিক স্টল, দুটি বাস, একটি ট্রাক, দুটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে সুধারাম থানা পুলিশ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদুল্লাহ খান সোহেল, সুধারাম থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আল মাহমুদ হাসান রোমেল, যুবলীগের ছোট সোহেল, নুর হোসেন ও ছাত্রলীগের সুলতানকে আটক করে। দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় ছাত্রলীগের সুলতান ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুলতানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনা তদন্তে আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে দলটির জেলা যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহেরকে আহ্বায়ক ও বিজয় মেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল করিম বাচ্চুকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবারের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ২০-২৫ জনের দলে ভাগ হয়ে সহীদুল্লাহ খান সোহেলের শতাধিক অনুসারী একযোগে শহরের প্রধান সড়কের গাড়ি, দোকানপাট এবং শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় হামলা ভাঙচুর চালাতে থাকে। এসময় মেলামঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। হামলাকারীরারা মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসলে শিল্পী-কলাকুশলী ও দর্শনার্থীরা আতংকে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। হামলায় শিল্পীসহ অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়। রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত ক্যাডাররা বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ ছয়টি গাড়ি, প্রধান সড়কের পাশের দু’টি দোকানসহ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় শতাধিক স্টল ও মঞ্চে হামলা ভাংচুর চালায়। এসময় পুরো শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কামাল হোসেন মাসুদ জানায়, ক্যাডাররা মেলার মঞ্চ, মাইক, সাউণ্ড সিষ্টেম, প্যাণ্ডেল ও চেয়ার টেবিল ভেঙ্গে ও কেটে তছনছ করে দিয়েছে।
সুধারাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন জানান, পুরো ঘটনা তদন্তে কমিটি ঘটন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আফম নিজাম উদ্দিন জানান, যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করতে গত শনিবার ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, সকল সহযোগী সংগঠন এবং পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের মতামত নেয়া হয়েছিল। মনোয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি এ ভোট প্রক্রিয়া সমন্বয় করেন।
সোমবার রাতে একরামুল করিম চৌধুরীর গ্রামের বাড়িতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে সভা চলছিল। ঐ সভায় জেলা আওযামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সামছুদ্দিন জেহানকে দলীয় মনোয়ন দেয়া হয়েছে এমন খবর ছড়াতে থাকে শহরে। এনিয়ে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যা খান সোহেলের বিক্ষুদ্ধ অনুসারীরা রাস্তায় নেমে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
মতামত
হা বী ব ই ম ন
রোহিঙ্গাদের হাতে নষ্ট হবে নোয়াখালী!
ছোট্ট একখান শহর। এক রাস্তার শহর। শুনশান-শান্ত একটি শহর। সেই শহরের ছোট্ট একটি ছেলে আমি। যদি এ জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারি, এ শহরের মানুষগুলোর কাছে থেকে এ শিখেছি। আজ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, বাস্তবতা-অবাস্তবতায় এ শহর থেকে অনেক দূরে এসেছি। কল্পনায়-আবেগে এখনো মন পড়ে থাকে এ শহরের দিকে। ছটফট করি কখন বাড়ি যাবো, কখন এ প্রিয় শহরে দাপিয়ে বেড়াবো, প্রিয় মুখগুলো শ্রীদর্শন হবে, অপেক্ষায় থাকি।
[বিস্তারিত]

মতামত
নোয়াখালী বিভাগ চাই
আবদুল্লাহ আল মামুনবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ১৮২১ সালে সৃষ্ট অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলার নাম‘নোয়াখালী’। এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনসহ অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নিজ কর্মে কীর্তিমান।
বৃহত্তর জেলা সিলেট ও বরিশাল এবং রংপুর বিভাগ হলেও প্রাচীন এই জেলাটিএখনও বিভাগ হয়নি। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় এক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি হচ্ছে নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ ঘোষণা করা হোক।
[বিস্তারিত]

প্রধান পাতা
চলতি সংবাদ
রাজনৈতিক সংবাদ
নোয়াখালীতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে হামলা-ভাঙচুর \ আহত অর্ধশতাধিক
নোয়াখালীতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে হামলা-ভাঙচুর \ আহত অর্ধশতাধিক
- ফেসবুক মন্তব্য