আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী
দাগনভূঞার জগতপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে। প্রায় ২ কিঃ মিঃ এলাকা ভাঙ্গন কবলিত হয়। বর্ষা আসার সাথে সাথে সমুদ্রের জোয়ারের পানি উঠে আসে জনপদে এবং এলাকায় তীব্রভাবে আঘাত হানে। ভাঙ্গনের ফলে দাগনভূঞার সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের নদী সংলগ্ন অংশ এবং ফাজিলের ঘাট তালতলী এলজিইডির পাকা সড়ক ইতিমধ্যে নদী গিলে নিয়েছে।
ভাঙ্গন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ওই গ্রামের ফকির আহমদের বাড়ী ও সিরাজুল ইসলামের বাড়ী, আবুল খায়েরের পানের বরজ, আবদুল মালেকের মাছের খামার নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।
গ্রামের ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল মালেক (৮০) জানান, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ও কাজিরহাট রেগুলেটর না থাকায় অবাধ জোয়ারে ভেঙ্গে যাচ্ছে জগতপুর গ্রাম।
এদিকে যেকোন বিলীনের প্রহর গুণছে আমিন মিয়ার বাড়ী, আলী আহমদের বাড়ী, ইদ্রিস মিয়ার বাড়ী, মজিদ মিয়ার বাড়ী, কামালের বাড়ী, কালা মিয়ার বাড়ী, আহছান উল্যার বাড়ী, আবুর বাড়ী, আঃ আজিজের বাড়ী, রেজাউল হকের বাড়ী, জালু আমিনের বাড়ী, রহিম মিয়ার বাড়ী, মোস্তাফিজের নতুন বাড়ী, জসিমের বাড়ী, জেলে পাড়ার ৩০ পরিবার, মিয়াজন মাঝি বাড়ীর ২০ পরিবার, তালতলী ঘাটের ৩টি দোকান ছাড়াও সোনাগাজীর চর মজলিশপুর ইউনিয়নের দাস মোহন পাটোয়ারী বাড়ী। ওই সব বাড়ীর অংশবিশেষ নদীতে তলিয়ে গেছে তারা আশংকা করছে ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে ভিটেমাটি হারা হয়ে যাবেন।
গ্রামের ইদ্রিস মিয়া জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছে। কিন্তু বর্ষা চলে এসেছে এখনও কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।
দাগনভূঞা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হোসেন বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও নদী শাসনের মাধ্যমে এই ভাঙ্গন রোধ সম্ভব। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরেজমিনে পরিদর্শন ও মাপ ঝোপ করে প্রকল্প তৈরীর কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছে কিন্তু প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।