
নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মপুর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় নুরুজ্জামান (৫৫) নামে এক ব্যক্তি এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। এডিসে নুরুজ্জামানের পিঠের বেশীরভাগ অংশ ঝলসে যায়। গুরুত্বর অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ৩৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত নুরুজ্জামান জানান, জমিজমা নিয়ে পাশের বাড়ির চাচা আবদুল হাশেমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার বিকেলে আবদুল হাসেম লোকজন নিয়ে নুরুজ্জামানের বাড়িতে এসে তার সেমিপাকা ঘরের নির্মনাধীন ওয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যার দিকে শ্রমিকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় পেছন থেকে কে বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এতে তাঁর পিঠের বেশকিছু অংশ ঝলসে যায়। শোর চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গায়ে পানি দিতে থাকেন। পরে রাতে তাকে হাসপাতে নিয়ে আসা হয়। নুরুজ্জামানের অভিযোগজমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আবুল হাশেম কিংবা তাঁর লোকজন এসিড নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িত।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত নার্স সেলিনা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্ট্রিফোর ডটকমকে জানান, নুরুজ্জামানের ভর্তি ফরমে ডাক্তার ”বার্ন উইথ এসিড” নোট দিয়েছেন। অন্যদিকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আদনান কায়সার জানান, নুরুজ্জামানের পিটের পোড়া কোন স্বাভাবিক পোড়া নয়। এটি নিশ্চিত কোন ক্যামিক্যাল বার্ণ। এটি এসিড বার্ণও হতে পারে এমন ধারণা করে তিনি বলেন-পরীক্ষা করা ছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
সুধারাম থানার এসআই তাপস বড়–য়া জানান, আহত নুরুজ্জামানের ছেলে ছাইদুর রহমান সানির এসংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেছেন। এর পর গতকাল শনিবার হাসপাতালে গিয়ে রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি এখনো তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।