
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গত ২০ নভেম্বর ২০০৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০০৯ এর ফাইনাল খেলা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ খেলায় ফিশারিজ দল ১-০ গোলে ফার্মাসি দলকে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের মিশু একমাত্র গোলটি করেন। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের আনোয়ার, সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচিত হন যৌথভাবে বিজয়ী দলের ইকবাল ও মিশু এবং সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন রানার-আপ দলের সুজিত।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ২০০৯ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের দু’টি করে মোট ৮টি দল নিয়ে এ টুর্নামেন্ট শুরু হয়। আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০০৯ এর স্পন্সর ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব একরামুল করিম চৌধুরী।
ফাইনাল খেলা শেষে নোবিপ্রবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারীর সভাপতিত্বে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০০৯ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে নোয়াখালী-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক জনাব একরামুল করিম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন উপস্থিত ছিলেন। নোবিপ্রবি শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জনাব মোঃ রাকেব-উল-ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি আশা করেন যে, খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে সক্ষম হলে নোবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা উন্নতমানের খেলা উপহার দিতে সক্ষম হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা সীমিত হওয়া সত্ত্বেও নোবিপ্রবি’র ছাত্রছাত্রীরা ভাল খেলা উপহার দিয়েছে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলার মানোন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর বরাবর একটি বেড়ি-বাঁধ নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় সাংসদ জনাব একরামুল করিম চৌধুরী বিজয়ী ফিশারিজ দল, রানার-আপ ফার্মাসি দলসহ সকল খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানান। ছাত্র রাজনীতি থেকে বিরত থেকে ভাল রেজাল্ট করে নিজেদেরকে আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি করতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অধ্যয়নই ছাত্রজীবনের একমাত্র রাজনীতি হওয়া উচিত। তিনি শিক্ষকবৃন্দকেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। নোবিপ্রবিতে একটি খেলার মাঠসহ খেলাধুলার উন্নয়নে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে ঘোষণা দেন। মাননীয় সাংসদ বিজয়ী দলকে ১০,০০০ টাকা, রানার-আপ দলকে ৫,০০০ টাকা, সেরা খেলোয়াড়কে ২,০০০ টাকা, সেরা গোলরক্ষককে ২,০০০ এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাদ্বয়কে ২,০০০ টাকা করে নগদ প্রদান করেন।
অতিথিবৃন্দ বিজয়ী দল, রানার-আপ দল, সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা গোলরক্ষক এবং খেলা আয়োজন কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পুরস্কৃত করেন। উপাচার্য প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০০৯ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে খেলাধুলা খুবই প্রয়োজন। পর্যায়ক্রমে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০০৯ এ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর জনাব সঞ্জীব কুমার দে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেফারিগণ টুর্নামেন্টের খেলাগুলো পরিচালনা করেন।